বিরহের কবি
রবীন্দ্রনাথ শেষের কবিতায় যা লিখেছেন সেটা সবারই জানা।
কিন্তু এই অধম এর মনেও তো উল্টো কিছু বয়ে চলতে পারে। তাই না !
উল্টোটা যদি এমনই ঘটে; তাহলে কেমন হয়?
----------------------------------
পথ আজ হঠাৎ এ কী পাগলামি করলে।
দুজনকে এক জায়গা থেকে ছিঁড়ে ফেলে আজ থেকে হয়তো ভিন্ন রাস্তায় চালান করে দিলে।
অ্যাস্ট্রনমার ভুল বলেছে--"অজানা আকাশ থেকে চাঁদ এসে পড়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে– লাগল তাদের মোটরে মোটরে ধাক্কা, সেই মরণের তাড়নার পর থেকে যুগে যুগে দুজনে একসঙ্গেই চলেছে; এর আলো ওর মুখে পড়ে, ওর আলো এর মুখে।"
অথচ ডাহা মিথ্যা কথা। মনের ভিতরটা বলছে, আমাদের শুরু হল বাঁকাচলন, আমাদের চলার পথে দু'জনের আর দেখা হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। মোটরে মোটরে আর ধাক্কা লাগারও সম্ভাবনা নেই। জীবনের সকল দেনাপাওনাও হয়তো একদিন মিটে যাবে। শুধু রয়ে যাবে পিছনের বেদনার সব স্মৃতিগুলো। এক কাপ চায়ের মধ্যেই সেই স্মৃতিগুলো ভেসে উঠবে। খাবার টেবিলের পছন্দ অপছন্দের তালিকায়ও ধরা পড়বে স্বাদ-বিস্বাদের স্মৃতি। স্মৃতিগুলো ধরা পড়ে বলেই আমরা সুখগুলোকে ধরতে পারি না। সুখের দেখা তাই সহজে মেলে না। এটা হয়তো ভাঙ্গা হৃদয়ের অনুগল্প। কিন্তু বাস্তবতাটা বিশাল সমুদ্রের মতো। সমুদ্রেরও তো সীমানা আছে। কিন্তু এই বাস্তবতার কোনো সীমানা নেই। অদ্ভূত মায়ায় আমাদের জীবনগুলো বাঁধা পড়ে থাকে। কোনোভাবেই এই মায়ার বাঁধন ছিন্ন করা যায় না.........